প্যারিসে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা, পরবর্তী বৈঠক লন্ডনে

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতা নতুন গতি পেয়েছে। ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত ১৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রিই ইয়ারমাকসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ কূটনীতিকরা। আলোচনায় ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীও অংশ নেন।
বৈঠক শেষে ফরাসি কর্মকর্তারা জানান, “এটি ছিল এক অসাধারণ ও গঠনমূলক দিন। ইউরোপীয় দেশগুলো এখন একটি সমন্বিত ভূমিকা রাখছে।”
মার্কিন প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যুদ্ধ থামিয়ে ইউক্রেনে একটি স্থায়ী ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘বাস্তবসম্মত ও কার্যকর’ সমাধান খুঁজে বের করাই আলোচনার মূল লক্ষ্য।
আলোচনায় ইউক্রেনের পক্ষ থেকে একটি পূর্ণ যুদ্ধবিরতি, বহুজাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন এবং একটি নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
তবে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের কিছু মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “উনি হয়তো বুঝে বা না বুঝে রাশিয়ার কথাই প্রচার করছেন, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক।”
ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং জার্মানি পরামর্শ দিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষিতে ইউরোপীয় একটি ‘আশ্বাসবাহী বাহিনী’ ইউক্রেনে মোতায়েন করা হতে পারে। তবে বিষয়টি কার্যকর করতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অপরিহার্য।
আলোচনার পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানান, “সবাই একটি টেকসই শান্তি চায়। তবে এই শান্তির ধাপ কীভাবে সাজানো হবে, সেটিই এখন মূল প্রশ্ন।”
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, এই আলোচনা আগামী দিনে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করবে। আলোচনার ধারাবাহিকতায় আগামী সপ্তাহে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী বৈঠক।
তথ্যসূত্র: এএফপি, রয়টার্স।