শনিবার, ২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, English Version, ইপেপার

শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা

শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা

 শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা : শিমের বিচি আমাদের দেশের প্রচলিত সবজির মধ্যে অন্যতম। এটি খাওয়ার মাধ্যমে আমরা দেহের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান পেতে পারি। তবে শিমের বিচি খাওয়ার আগে এর উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা গুরুত্বপূর্ণ। আসুন শিমের বিচির পুষ্টিগুণ এবং এর সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়াগুলো নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করা যাক।

আরও পড়ুন: মেয়েরা রসুন খেলে কি হয়?

শিমের বিচির পুষ্টিগুণ:

শিমের বিচি পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাদ্য উপাদান। এতে রয়েছে উচ্চ মানের প্রোটিন, ভিটামিন, এবং খনিজ উপাদান, যা শরীরের সঠিক কার্যকারিতায় সহায়ক।
প্রতি ১০০ গ্রাম শিমের বিচিতে প্রায় নিম্নলিখিত পুষ্টি উপাদান থাকে: ক্যালোরি: ৩৪৩ কিলোক্যালোরি, প্রোটিন: ২৫ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট: ৬০ গ্রাম, ফ্যাট: ১.৫ গ্রাম,ফাইবার: ২৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম: ১৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন: ৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি: ৪, মিলিগ্রাম

শিমের বিচির উপকারিতা:

হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী: শিমের বিচি ফাইবারে সমৃদ্ধ, যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত শিমের বিচি খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে এবং হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে। শিমের বিচির ফাইবার রক্তে কোলেস্টেরল ও সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: শিমের বিচি একটি নিম্ন গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাদ্য, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন থাকায় এটি ধীরে ধীরে হজম হয় এবং রক্তে শর্করার হঠাৎ ওঠানামা রোধ করে।

হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে: শিমের বিচির মধ্যে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার থাকে, যা পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক। এছাড়াও, ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়তা করে এবং পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে।

আরও পড়ুন: রাতে আদা খেলে কী হয়: স্বাস্থ্য উপকারিতা ও প্রভাব

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: শিমের বিচিতে থাকা ফাইবার ও প্রোটিন হজম প্রক্রিয়া ধীর করে, যা দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা কমে, যা ওজন কমাতে সহায়ক হয়।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ: শিমের বিচিতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি র‍্যাডিক্যাল দূর করতে সাহায্য করে, যা ক্যান্সারসহ বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ক্ষতি রোধ করে এবং বয়সের প্রভাব ধীর করে।

হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখে: শিমের বিচিতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের শক্তি বজায় রাখতে সহায়ক। নিয়মিত শিমের বিচি খাওয়া অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: শিমের বিচির পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, বিশেষত উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী।

আরও পড়ুন: কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি: প্রাকৃতিক এবং সহজ সমাধান

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি: শিমের বিচিতে থাকা ভিটামিন বি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন করতে সহায়তা করে। এটি স্নায়ুতন্ত্রের সুস্থতায়ও সহায়ক ভূমিকা রাখে।

শিমের বিচির অপকারিতা:

যদিও শিমের বিচি অত্যন্ত পুষ্টিকর, তবে এটি কিছু সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে শিমের বিচির অপকারিতাগুলো নিম্নরূপ:

গ্যাস্ট্রিক ও পেট ফাঁপা: শিমের বিচিতে থাকা কিছু শর্করা (অলিগোস্যাকারাইড) পেটের মধ্যে ফার্মেন্টেশন করে, যা গ্যাস ও পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে। বিশেষত যারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য এটি বিরক্তিকর হতে পারে।

অতিরিক্ত ফাইবারের কারণে হজমের সমস্যা: শিমের বিচিতে ফাইবারের উচ্চ পরিমাণ থাকায় অতিরিক্ত খেলে ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। ফাইবার অত্যধিক পরিমাণে গ্রহণ করলে অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত হতে পারে।

অ্যালার্জি: কিছু মানুষের জন্য শিমের বিচি অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। অ্যালার্জির লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ত্বকে চুলকানি, শ্বাসকষ্ট, এবং পেটের সমস্যা। যারা শিম বা শিম জাতীয় শস্যে অ্যালার্জি অনুভব করেন, তাদের শিমের বিচি এড়িয়ে চলা উচিত।

পিউরিনের উপস্থিতি: শিমের বিচিতে পিউরিন থাকে, যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে পারে। যাদের গাউট বা কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এটি সমস্যার কারণ হতে পারে, কারণ বেশি পিউরিন গ্রহণ কিডনির কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে।

আরও পড়ুন: পেটের মেদ কমাতে সহায়ক ১০টি সেরা খাবারের তালিকা

শিশুদের জন্য ঝুঁকি: শিশুদের হজম প্রক্রিয়া দুর্বল হওয়ায়, শিমের বিচি খাওয়ানো হলে গ্যাস্ট্রিক বা পেটের ব্যথা হতে পারে। তাই শিশুদের ক্ষেত্রে শিমের বিচি খাওয়ার আগে সতর্ক হওয়া উচিত।

শিমের বিচি খাওয়ার সঠিক নিয়ম:

শিমের বিচির উপকারিতা পাওয়ার জন্য এর সঠিক পরিমাণে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দিনে ১ কাপ (প্রায় ১৫০-২০০ গ্রাম) শিমের বিচি খাওয়া নিরাপদ ও উপকারী। তবে যাদের স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে, যেমন কিডনির সমস্যা বা গ্যাস্ট্রিকের প্রবণতা, তাদের ক্ষেত্রে শিমের বিচি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

শিমের বিচি একটি পুষ্টিকর খাদ্য যা শরীরের জন্য নানা উপকারিতা প্রদান করে। তবে এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে, যা সতর্কতার সাথে বিবেচনা করা উচিত। স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে সঠিক পরিমাণে শিমের বিচি খাওয়া যেতে পারে। এটি হৃদযন্ত্র, হাড়, এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী, তবে গ্যাস্ট্রিক ও অ্যালার্জির সমস্যা এড়াতে এর পরিমাণে সতর্ক থাকা জরুরি।

আরও পড়ুন: লেবুর যত উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

শিমের বিচিতে কোন ভিটামিন আছে?

শিমের বিচি বিভিন্ন ভিটামিনে সমৃদ্ধ যা শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এতে প্রধানত পাওয়া যায় ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, এবং ভিটামিন কে।

শিমের বিচিতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের বিভিন্ন উপাদান থাকে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভিটামিন বি১ (থায়ামিন), ভিটামিন বি২ (রাইবোফ্লাভিন), ভিটামিন বি৩ (নায়াসিন), এবং ভিটামিন বি৬ (পাইরিডক্সিন)। এসব ভিটামিন দেহের শক্তি উৎপাদনে, স্নায়ুতন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে এবং রক্তকোষের উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। থায়ামিন কার্বোহাইড্রেটকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে, আর রাইবোফ্লাভিন এবং নায়াসিন সেলুলার কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ভিটামিন বি৬ প্রোটিন হজমে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় অবদান রাখে।

আরও পড়ুন:৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়

ভিটামিন সি একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা শরীরকে ফ্রি র‍্যাডিক্যাল থেকে সুরক্ষা দেয়। এটি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সহায়ক এবং শরীরের টিস্যু মেরামতে অবদান রাখে। শিমের বিচির ভিটামিন সি ত্বক ও হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক এবং কোলাজেন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে।

ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যও জরুরি, কারণ এটি ক্যালসিয়ামের শোষণ ও ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করে।

শিমের বিচি ভাজার উপকারিতা ও অপকারিতা

শিমের বিচি ভাজা একটি সুস্বাদু খাবার হিসেবে পরিচিত, যা খেতে মজাদার হলেও এর পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। ভাজা শিমের বিচির কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে, যা সঠিকভাবে জেনে খাওয়া উচিত।

ভাজা শিমের বিচির উপকারিতা প্রধানত এর পুষ্টিগুণের সাথে সম্পর্কিত। ভাজা অবস্থায় শিমের বিচি প্রোটিন, ফাইবার, এবং ভিটামিন বজায় রাখে। প্রোটিন দেহের কোষের গঠনে ও পেশি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে, আর ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। ভাজা শিমের বিচি শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে, কারণ এতে কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা দ্রুত শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। এছাড়া ভাজা শিমের বিচির স্বাদ ও ক্রাঞ্চি টেক্সচার অনেকের জন্য খাবারকে আরও উপভোগ্য করে তোলে, যা স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে। এর উচ্চ ফাইবার কন্টেন্ট দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে, যা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।

আরও পড়ুন: মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়

তবে শিমের বিচি ভাজার সময় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে এর পুষ্টিগুণ হ্রাস পেতে পারে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে। বেশি তেলে ভাজার কারণে শিমের বিচিতে অতিরিক্ত ক্যালোরি ও ফ্যাট যুক্ত হয়, যা স্থূলতা, হৃদরোগ, এবং কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ভাজা খাবার দীর্ঘ সময় ধরে হজম হয় না, যা গ্যাস্ট্রিক ও পেটের অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া উচ্চ তাপে ভাজার সময় শিমের বিচির কিছু ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নষ্ট হয়ে যেতে পারে, ফলে এর পুষ্টিগুণ কিছুটা হ্রাস পায়। ভাজা খাবারে অক্রিয় তেলের উপস্থিতি ফ্রি র‍্যাডিক্যাল উৎপন্ন করতে পারে, যা শরীরের কোষের ক্ষতি করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

শিমের বিচি ভাজার সময় তেলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা, স্বাস্থ্যকর তেল (যেমন অলিভ অয়েল বা সরিষার তেল) ব্যবহার করা, এবং বেশি উচ্চ তাপে ভাজার পরিবর্তে মাঝারি তাপে ধীরে ভাজা স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে।

শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সম্যক জিজ্ঞাসা

১.শিমের বিচি খেলে কি ওজন বাড়ে

শিমের বিচি খেলে সরাসরি ওজন বাড়ে না, বরং এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। শিমের বিচি প্রোটিন এবং ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস, যা পেট ভরিয়ে রাখে এবং দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে, যা ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হয়।

তবে শিমের বিচি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে বা উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত উপায়ে (যেমন অনেক তেল দিয়ে ভাজা বা চর্বিযুক্ত সস দিয়ে রান্না করা) খাওয়া হয়, তাহলে এটি ওজন বাড়ানোর কারণ হতে পারে। তাই শিমের বিচি খাওয়ার সময় এর প্রক্রিয়াকরণ ও পরিমাণের দিকে নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

সঠিক পরিমাণে ও সুষম খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে শিমের বিচি খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে এবং এটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে।

২. শিমের বিচি কতটুকু নিরাপদ?

শিমের বিচি সাধারণত পুষ্টিকর এবং নিরাপদ খাবার হিসেবে বিবেচিত, তবে এটি খাওয়ার পরিমাণ এবং প্রস্তুতির পদ্ধতির উপর নির্ভর করে এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব। শিমের বিচি নিয়মিত এবং সঠিক পরিমাণে খাওয়া হলে এটি শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এতে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, এবং খনিজ উপাদান রয়েছে, যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

তবে, অতিরিক্ত শিমের বিচি খেলে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা বেশি খেলে হজমের সমস্যা, গ্যাস বা পেট ফাঁপার সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে যাদের গ্যাস্ট্রিক বা পেটের সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি হতে পারে বিরক্তিকর। এছাড়া শিমের বিচিতে থাকা পিউরিন নামক যৌগ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে পারে, যা কিডনি বা গাউটের সমস্যা তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে।

সাধারণত, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দিনে প্রায় ১ কাপ (১৫০-২০০ গ্রাম) শিমের বিচি খাওয়া নিরাপদ ও উপকারী হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে কারো যদি কিডনির সমস্যা, গ্যাস্ট্রিকের প্রবণতা, বা শিমের বিচির অ্যালার্জি থাকে, তাদের জন্য এটি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত