শনিবার, ২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, English Version, ইপেপার

সীতাকুন্ডে নজর কেড়েছে ইনডোর প্ল্যান্ট ‘কাঁটাপাতা’

সীতাকুন্ডে নজর কেড়েছে ইনডোর প্ল্যান্ট ‘কাঁটাপাতা’

নিজস্ব সংবাদদাতা:  কর্মময় জীবনে ইনডোর প্ল্যান্ট আমাদের জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাসের অপর নাম। দিন দিন মানুষ সবুজের ছোঁয়া পেতে উৎসাহিত হচ্ছে, ফলে বাড়ছে ইনডোর প্ল্যান্টের ব্যবহার। চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে এমনই একটি ইনডোর প্ল্যান্ট ‘কাঁটাপাতা’ সবার নজর কেড়েছে। উচ্চমূল্যের কারণে যেসব গাছ একসময় মানুষের হাতের নাগালের বাইরে ছিল, কাঁটাপাতা তার নিজস্ব চাষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এখন দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে নানা প্রজাতির বিদেশি ইনডোর প্ল্যান্ট।

সীতাকুন্ড পৌরসভার প্রেমতলায় এক বাড়ির ছাদে ১০ বন্ধু মিলে শখের বসে গড়ে তুলেছেন ইনডোর প্ল্যান্ট ‘কাঁটাপাতা’। তারা বাড়ির ছাদে দেশি-বিদেশী কয়েক হাজার প্রজাতির ইনডোর প্ল্যান্ট চাষ করে যুব প্রজন্মকে স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন। উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন প্রজাতির ক্যাকটাস, সাকুলেন্ট, এয়ার প্ল্যান্ট, পথোস, ফিলোডেন্ড্রন, এগ্লোনিমা, মনস্টেরা, রাবার প্ল্যান্ট, জিজি প্ল্যান্ট, এডেনিয়াম, এরাবিকাম, অর্কিডসহ আরও অনেক গাছ এখানে রয়েছে।

সম্প্রতি ‘কাঁটাপাতা’ ছাদবাগানে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল একটি শেডে টবে টবে সাজানো রয়েছে নানা জাতের বাহারী ক্যাকটাস। ক্যাকটাসের বীজ থেকে তৈরি করা হয় চারা। এখানে রয়েছে এপিথেলাস্থা মাইক্রোমেরিস ক্রিস্টাটা, উবেলম্যানিয়া পেকটিনিফেরা, অ্যাজটেকিয়াম রিটেরি, পিগমেওসিরাস বিবলির মতো দুর্লভ ক্যাকটাস। তরুণদের একজন শিবলু দাশ বলেন, “৩ বছর হলো আমরা এই বাগান করেছি। শুরুতে অল্প কয়েক ধরনের গাছ দিয়ে পরিচালনা শুরু হয়। বর্তমানে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ প্রজাতির দেশী-বিদেশী ক্যাকটাস রয়েছে আমাদের বাগানে।”