বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, English Version, ইপেপার

আমদানির খবরে  আলুর দাম নিম্নমুখী

আমদানির খবরে আলুর দাম নিম্নমুখী

আলু আমদানির খবরে দাম কমতে শুরু করেছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে৷ প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৩ টাকায়৷ তবে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। এদিকে, শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তিতে সবজির বাজার৷

তিন দিনের টানা অবরোধে সবজির সরবরাহ ছিল কম৷ তবে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করায় ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে সবজির বাজার। গত সপ্তাহের তুলনায় বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সবজির দাম কিছুটা কমতির দিকে ছিল।

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি সবজির দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে ছিল। এখন কমে বেশির ভাগ সবজিই ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। কাওরান বাজারে খুচরায় প্রতি কেজি কালো বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ টাকা। সাদা বেগুন ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা কেজি। একইভাবে দাম কিছুটা কমে পটোল ৬০ টাকা কেজি, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি, ঝিঙা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

কাওরান বাজারের প্রায় সব দোকানেই ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। লাল কক জাতের মুরগি ৩২০ টাকা কেজি, লাল লেয়ার ৩৫০ টাকা কেজি, দেশি মুরগি ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে মুরগির লাল ডিম ডজনে পাঁচ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা ডজন, সাদা ডিমও ৫ টাকা কমে ১৪০ টাকা ডজন দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় এদিন হাঁসের ডিমের দাম ডজনে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাঝারি আকারের রুই মাছ ৩৬০ টাকা কেজি, পাবদা ৪৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, মাঝারি আকারের চিংড়ি ৭০০ টাকা কেজি, কাচকি ৪৫০ টাকা কেজি, সরপুঁটি ২২০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া আকারভেদে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

তবে মিনিকেট ও মোটা চালের দাম প্রতি কেজিতে দুই থেকে চার টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, গত সপ্তাহে বিআর আটাশ চাল ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে ৫০ থেকে ৫৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চাল ছিল ৪৬ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে তা বেড়ে ৬২ থেকে ৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি শুরু করেছে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন। গতকাল দুপুরে ট্রাকসেলে ৩৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপন। একইভাবে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী ট্রাকের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রির ব্যবস্থা নিয়েছেন। একই সঙ্গে অন্য কর্মকর্তাদের জেলার হিমাগারগুলোতে থাকা আলু সরকার নির্ধারিত পাইকারি ২৬-২৭ টাকা এবং খুচরা ৩৫-৩৬ টাকা দরে বিক্রির জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।